সেরা ৪২টি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

আজকের ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে অ্যাড দেখে অর্থ উপার্জনের অ্যাপস ব্যবহার করে খুব সহজে নগদ আয় করা সম্ভব।সেরা ৪২টি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপসএই ধরনের অ্যাপস ব্যবহারকারীদের ভিডিও, ব্যানার বা রিওয়ার্ড অ্যাড দেখার মাধ্যমে টাকা বা পয়েন্ট অর্জনের সুযোগ দেয়। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য bKash, Nagad ও PayPal সমর্থিত অনেক নিরাপদ অ্যাপ আছে,

যা দ্রুত অর্থ উত্তোলন নিশ্চিত করে। এই ৪২টি অ্যাপ আপনাকে বিনিয়োগ ছাড়াই সময়োপযোগী ও সহজ উপায়ে আয় করার সুযোগ দেবে।

সেরা ৪২টি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস?

নিচে সেরা ৪২টি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১. Swagbucks

Swagbucks বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনকাম অ্যাপগুলোর একটি, যা ২০০৮ সাল থেকে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দিয়ে আসছে। এই প্ল্যাটফর্মে আপনি শুধু অ্যাড দেখে নয়, বরং অনলাইন শপিং,

সার্ভে পূরণ, গেম খেলা, ওয়েবসার্চ করা, এমনকি বন্ধু রেফার করেও আয় করতে পারবেন। তবে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখা। প্রতিবার ভিডিও অ্যাড দেখার পর আপনি “SB Points” পান।

এখানে জমা হওয়া পয়েন্টগুলো আপনি PayPal ক্যাশ বা Amazon, Walmart, Starbucks সহ নানা জনপ্রিয় গিফটকার্ডে রূপান্তর করতে পারবেন। Swagbucks এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর বিশ্বাসযোগ্যতা।

এ পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের কাছে এটি কোটি কোটি ডলার প্রদান করেছে। বাংলাদেশ থেকেও এটি ব্যবহার করা যায়, তবে PayPal-এর সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকেই গিফটকার্ড ব্যবহার করে থাকেন।

Swagbucks ব্যবহারের আরেকটি বিশেষ দিক হলো এর “ডেইলি গোল” সিস্টেম। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক কাজ সম্পন্ন করলে অতিরিক্ত বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যায়। ফলে যারা নিয়মিতভাবে অ্যাপটি ব্যবহার করেন,

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

তাদের আয় ধীরে ধীরে অনেকটা বেড়ে যায়। এটা একেবারে ফুল-টাইম ইনকামের জায়গা না হলেও সাইড ইনকাম হিসেবে বেশ কার্যকর।

২. InboxDollars

InboxDollars মূলত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি জনপ্রিয় রিওয়ার্ড অ্যাপ, তবে আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারীরাও এখানে কাজ করতে পারে। এটি বিশেষ করে ভিডিও অ্যাড দেখা, নিউজ ক্লিপস দেখা এবং বিভিন্ন প্রোডাক্ট রিভিউ অ্যাড দেখার মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়।

প্রতিবার অ্যাড দেখার পর ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার আয় করেন, যা পরে PayPal-এর মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়। InboxDollars অন্যান্য অ্যাপের চেয়ে একটু ভিন্ন কারণ এখানে কেবল ভিডিও নয়, বিভিন্ন ক্যাটেগরির কনটেন্ট থাকে।

যেমনঃ বিনোদন, স্পোর্টস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি। ফলে ব্যবহারকারী নিজের পছন্দমতো কনটেন্ট বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া অ্যাপে “Scratch & Win” ফিচার রয়েছে, যা ব্যবহার করলে বাড়তি ক্যাশ পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এই প্ল্যাটফর্মের একটি আকর্ষণীয় দিক হলো রেফারেল বোনাস। আপনার বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানালে এবং তারা কাজ শুরু করলে আপনি বাড়তি ইনকাম পাবেন। তবে শুরুতে ক্যাশআউট করার জন্য ন্যূনতম $15 ব্যালেন্স জমাতে হয়। ধৈর্য ধরে ব্যবহার করলে এটি একটি নির্ভরযোগ্য আয়মাধ্যম হতে পারে।

৩. ClipClaps

ClipClaps হলো একটি ফানি ও এন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবহারকারীদের ভিডিও দেখার বিনিময়ে পুরস্কার দেয়। এখানে বিজ্ঞাপন দেখা এবং ভিডিও দেখা একসাথে চলে। প্রতিবার ভিডিও দেখলে কয়েন জমে,

আর এই কয়েনগুলোকে ডলার আকারে PayPal এ রূপান্তর করা যায়। এখানে শুধু বিজ্ঞাপন নয়, বরং আপনি নিজের ভিডিও আপলোড করেও আয় করতে পারবেন। যদি আপনার ভিডিওতে অনেক ভিউ আসে, তাহলে বাড়তি পুরস্কার পাওয়া যায়।

ClipClaps এ আরও আছে “Treasure Chest” ফিচার, যা খুলে ব্যবহারকারীরা বোনাস কয়েন ও ক্যাশ রিওয়ার্ড পান। বাংলাদেশে এই অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয় কারণ PayPal ছাড়াও বিভিন্ন গিফটকার্ডে ক্যাশআউট করা যায়।

তবে এর একটি সীমাবদ্ধতা হলো বিজ্ঞাপনের সংখ্যা প্রতিদিন সীমিত থাকে, তাই আয়ও সীমিত পরিমাণে হয়। তবুও যারা প্রতিদিন একটু সময় ব্যয় করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো সাইড ইনকাম উৎস হতে পারে।

৪. Current Rewards (Mode Earn App)

Current Rewards হলো একটি বহুমুখী ইনকাম অ্যাপ, যেখানে আপনি বিজ্ঞাপন দেখার পাশাপাশি গান শোনা, গেম খেলা, অ্যাপ টেস্ট করা, এমনকি চার্জ দেওয়ার সময়ও আয় করতে পারবেন।

বিশেষ করে বিজ্ঞাপন ও ভিডিও ক্লিপ দেখার জন্য আলাদা রিওয়ার্ড থাকে। অ্যাপটি ব্যবহার করলে আপনি প্রতিদিন পয়েন্ট জমাতে পারেন, যা PayPal ক্যাশ, গিফটকার্ড, এমনকি মোবাইল রিচার্জেও রূপান্তর করা যায়।

এর একটি বাড়তি সুবিধা হলো ব্যাকগ্রাউন্ডে গান চালালে পয়েন্ট জমতে থাকে। ফলে আলাদা করে সময় ব্যয় না করেও আয় করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশে এটির ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে কারণ এটি আন্তর্জাতিকভাবে অনেক পুরস্কার দিয়েছে।

তবে এখানে ধৈর্য ধরে সময় দিতে হয়, কারণ প্রতি বিজ্ঞাপন বা গানের জন্য রিওয়ার্ড খুব বেশি নয়। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৫. Google Opinion Rewards

Google Opinion Rewards হচ্ছে গুগলের একটি অফিসিয়াল রিওয়ার্ড অ্যাপ, যেখানে ছোট ছোট সার্ভে পূরণ এবং বিজ্ঞাপন/ভিডিও দেখার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। যদিও এই অ্যাপে সার্ভেই প্রধান ইনকামের উৎস, তবে বিভিন্ন সময় অ্যাড ও ভিডিও ক্লিপও দেখানো হয়।

প্রতিটি কাজ শেষ করলে আপনি Google Play ক্রেডিট বা PayPal ক্যাশ আকারে রিওয়ার্ড পাবেন। এটি অনেক বিশ্বাসযোগ্য কারণ সরাসরি গুগল থেকে পরিচালিত হয়। অন্য অ্যাপের মতো প্রতারণার ভয় নেই।

বাংলাদেশে Play Store এর জন্য পাওয়া ক্রেডিট ব্যবহার করে অ্যাপ, গেম, বই, মুভি কেনা যায়। আর যেসব দেশে PayPal সাপোর্ট করে, সেখানে সরাসরি ক্যাশআউট করা সম্ভব। তবে এর একটি সীমাবদ্ধতা হলো টাস্ক বা সার্ভে প্রতিদিন পাওয়া যায় না।

মাঝে মাঝে সপ্তাহে একবারও আসতে পারে। তাই যারা নিয়মিত ইনকামের জন্য খুঁজছেন, তাদের কাছে এটি কম উপযোগী হলেও দীর্ঘমেয়াদে বেশ কার্যকর।

৬. CashKarma

CashKarma হলো এমন একটি অ্যাপ যেখানে ভিডিও বিজ্ঞাপন, সার্ভে, অফার এবং প্রোডাক্ট টেস্টিংয়ের মাধ্যমে আয় করা যায়। বিশেষ করে ভিডিও অ্যাড দেখে দ্রুত পয়েন্ট জমে। এখানে পয়েন্টগুলো PayPal ক্যাশ, Amazon বা iTunes গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়।

অ্যাপটির বিশেষ ফিচার হলো এর “Achievement Badges”। যখন আপনি নির্দিষ্ট সংখ্যক কাজ শেষ করেন বা দীর্ঘদিন অ্যাপটি ব্যবহার করেন, তখন বাড়তি বোনাস পয়েন্ট পান। ফলে অন্য সাধারণ অ্যাপের তুলনায় এখানে বেশি আয় করার সুযোগ থাকে।

CashKarma ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় দিক হলো রেফারেল সিস্টেম। বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানালে তারা কাজ শুরু করলেই আপনি পয়েন্ট পান। ধৈর্য ধরে ব্যবহার করলে মাস শেষে একটি ভালো সাইড ইনকাম পাওয়া সম্ভব।

৭. ySense

ySense মূলত একটি সার্ভে ও টাস্কভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, তবে এখানে ভিডিও অ্যাড দেখেও আয় করা যায়। অ্যাপ ও ওয়েবসাইট দুইভাবেই এটি ব্যবহার করা যায়। প্রতিবার বিজ্ঞাপন বা ভিডিও দেখার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট যোগ হয়, যা পরে PayPal, Skrill বা গিফটকার্ডে ক্যাশআউট করা যায়।

এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কাজের বৈচিত্র্য। শুধু অ্যাড নয়, বরং ছোট কাজ যেমন ডেটা এন্ট্রি, অ্যাপ টেস্টিং, ওয়েবসাইট চেক করা ইত্যাদি করেও আয় করা যায়। ফলে যারা সময় দিতে চান, তারা বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকেও ySense ব্যবহার করা যায়, তবে অনেক সময় কিছু অফার বা টাস্ক কেবল নির্দিষ্ট দেশের জন্য থাকে। তবুও যারা ধৈর্য ধরে কাজ করেন, তাদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদী আয়ের উৎস।

৮. FeaturePoints

FeaturePoints একটি জনপ্রিয় অ্যাপ যা ২০১২ সাল থেকে চালু আছে। এখানে অ্যাড ও ভিডিও দেখে পয়েন্ট আয় করা যায়। এ ছাড়া নতুন অ্যাপ ডাউনলোড ও টেস্ট করেও আয় সম্ভব। জমা হওয়া পয়েন্ট PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়।

এই অ্যাপের বিশেষ সুবিধা হলো ইনস্ট্যান্ট রিওয়ার্ড সিস্টেম। অনেক সময় কাজ শেষ করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পয়েন্ট জমা হয়ে যায়। এ ছাড়া রেফারেল সিস্টেমও শক্তিশালী। বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানালে তাদের আয়ের একটি অংশ বোনাস হিসেবে আপনিও পান।

বাংলাদেশের অনেক ব্যবহারকারী ইতিমধ্যে এটি ব্যবহার করছেন। তবে মনে রাখতে হবে, প্রতিদিন বিজ্ঞাপনের সংখ্যা সীমিত থাকে, তাই এক দিনে খুব বেশি আয় করা সম্ভব নয়। নিয়মিত ব্যবহার করলে মাসে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

৯. AppTrailers

AppTrailers মূলত অ্যাপ, মুভি, ও প্রোডাক্টের ট্রেইলার ভিডিও দেখার মাধ্যমে আয় করার একটি অ্যাপ। এখানে প্রতিটি ভিডিও ট্রেইলার দেখলে কয়েন পাওয়া যায়। সেই কয়েন PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়।

অ্যাপটির সবচেয়ে মজার দিক হলো এর কনটেন্ট। যেহেতু নতুন অ্যাপ ও মুভির ট্রেইলার থাকে, তাই বিনোদনের পাশাপাশি আয়ও করা যায়। অনেক ব্যবহারকারী একে ইউটিউবের মতো মনে করেন, তবে এখানে বাড়তি সুবিধা হলো ভিডিও দেখে ইনকাম পাওয়া।

AppTrailers ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিদিন সীমিত সংখ্যক বিজ্ঞাপন থাকে। তাই আয় করতে চাইলে প্রতিদিন কিছুটা সময় ব্যয় করতে হবে। ছোট ছোট ইনকাম একসাথে জমে বড় অঙ্কে পরিণত হয়।

১০. Slidejoy

Slidejoy একটি অনন্য অ্যাপ, যা মোবাইল ফোনের লকস্ক্রিনে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করার সুযোগ দেয়। ফোন আনলক করার সময় অ্যাড বা নিউজ কার্ড ভেসে ওঠে। ব্যবহারকারী সেই বিজ্ঞাপন দেখে স্লাইড করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়েন জমা হয়। এই কয়েন পরবর্তীতে PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়।

Slidejoy এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনাকে আলাদা সময় ব্যয় করতে হয় না। ফোন আনলক করলেই অ্যাড দেখা হয়ে যায় এবং কয়েন জমা হয়। ফলে ব্যস্ত মানুষেরাও সহজে আয় করতে পারেন। এটি মূলত “Passive Income” টাইপের একটি সিস্টেম।

তবে এর সীমাবদ্ধতা হলো আয়ের হার খুব বেশি নয়। দৈনিক কয়েক সেন্ট থেকে এক ডলার পর্যন্ত জমতে পারে। তবুও মাস শেষে একটি ভালো অঙ্ক দাঁড়ায়, যদি নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। যারা সহজভাবে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।

১১. Fronto

Fronto অ্যাপটি Slidejoy-এর মতোই কাজ করে। মোবাইলের লকস্ক্রিনে বিজ্ঞাপন, ডিল, নিউজ, বা প্রোডাক্ট রিকমেন্ডেশন দেখানো হয়। প্রতিবার ফোন আনলক করার পর ব্যবহারকারী পয়েন্ট পান। পয়েন্টগুলো PayPal, Amazon, Google Play, Starbucks ইত্যাদির গিফটকার্ডে রূপান্তরযোগ্য।

Fronto ব্যবহারকারীদের জন্য বিজ্ঞাপনগুলো আকর্ষণীয় এবং টার্গেটেড হয়। যেমনঃ যদি কেউ ফ্যাশনে আগ্রহী হন, তবে তিনি ফ্যাশন-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বেশি পাবেন। এতে ব্যবহারকারীর আগ্রহ বজায় থাকে এবং আয়ের সম্ভাবনাও বাড়ে।

অ্যাপটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় কারণ এর ইন্টারফেস সহজ ও ব্যবহারবান্ধব। তাছাড়া রেফারেল সিস্টেমও রয়েছে। ফলে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বাড়তি আয় করা সম্ভব। তবে এখানে আয় ধীরগতিতে জমে, তাই ধৈর্য ধরে ব্যবহার করতে হয়।

১২. AppNana

AppNana একটি বহুমুখী রিওয়ার্ড অ্যাপ, যেখানে ভিডিও অ্যাড দেখা, নতুন অ্যাপ ইনস্টল করা এবং গেম খেলার মাধ্যমে আয় করা যায়। প্রতিটি কাজ শেষে ব্যবহারকারী “Nana Points” পান। এগুলো PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়।

AppNana এর বিশেষ ফিচার হলো “Daily Bonus”। প্রতিদিন অ্যাপে লগইন করলেই বাড়তি পয়েন্ট জমা হয়। এছাড়া বন্ধুদের রেফার করলে অনেক বড় পরিমাণ বোনাস পাওয়া যায়। ফলে নিয়মিত ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বেশ লাভজনক।

বাংলাদেশ থেকেও AppNana ব্যবহার করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে, এখানে আয় ধীরে ধীরে জমে। প্রতিদিন কয়েকটি ভিডিও অ্যাড এবং অ্যাপ টেস্টের মাধ্যমে পয়েন্ট বাড়ানো সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদে এটি একটি ভালো সাইড ইনকাম হতে পারে।

১৩. AdFun (Rewardable TV)

AdFun মূলত Rewardable TV এর একটি নতুন সংস্করণ, যা বিজ্ঞাপন এবং ছোট ভিডিও দেখে আয় করার সুযোগ দেয়। এখানে বিজ্ঞাপনগুলো বিভিন্ন ক্যাটেগরির হয় যেমনঃ এন্টারটেইনমেন্ট, ফ্যাশন, স্পোর্টস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি। প্রতিটি ভিডিও দেখে পয়েন্ট জমে, যা PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়।

এই অ্যাপটির একটি আকর্ষণীয় দিক হলো কনটেন্ট বৈচিত্র্য। ব্যবহারকারীরা একঘেয়েমি ছাড়াই পছন্দমতো ক্যাটেগরি বেছে নিয়ে ভিডিও দেখতে পারেন। এতে আয় করার পাশাপাশি জ্ঞানও বাড়ে।

AdFun এর সীমাবদ্ধতা হলো কাজের সংখ্যা প্রতিদিন সীমিত থাকে। তবে নিয়মিতভাবে ব্যবহার করলে মাস শেষে একটি ভালো অঙ্কের ইনকাম দাঁড়ায়। বিশেষ করে যারা সময় কাটানোর জন্য ভিডিও দেখতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি বেশ কার্যকর।

১৪. Perk TV

Perk TV একটি পুরোনো কিন্তু বিশ্বস্ত রিওয়ার্ড অ্যাপ। এখানে বিজ্ঞাপন, ছোট ভিডিও, ট্রেইলার ইত্যাদি দেখে আয় করা যায়। প্রতিটি ভিডিওর পর ব্যবহারকারীরা পয়েন্ট পান, যা PayPal ক্যাশ, গিফটকার্ড, এমনকি মোবাইল রিচার্জেও ব্যবহার করা যায়।

অ্যাপটির বিশেষ সুবিধা হলো একাধিক ডিভাইস একসাথে ব্যবহার করা যায়। ফলে যাদের কাছে পুরোনো স্মার্টফোন আছে, তারা সেগুলোতেও অ্যাপ চালিয়ে আয় বাড়াতে পারেন।

Perk TV এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সহজ ক্যাশআউট সিস্টেম। নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জমলেই সহজে টাকা তোলা যায়। তবে ভিডিওগুলো দেখতে অনেক সময় লাগে, তাই ধৈর্য ধরে ব্যবহার করতে হয়।

১৫. FusionCash

FusionCash একটি GPT (Get-Paid-To) প্ল্যাটফর্ম, যেখানে অ্যাড দেখা, ভিডিও দেখা, সার্ভে পূরণ এবং ছোট ছোট টাস্ক করে আয় করা যায়। প্রতিটি বিজ্ঞাপন শেষে ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যাশ রিওয়ার্ড পান।

এটি যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হলেও আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারীরাও কাজ করতে পারেন। পেমেন্ট সিস্টেম বেশ নির্ভরযোগ্য এবং সরাসরি PayPal বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা পাওয়া যায়।

FusionCash এর অন্যতম সুবিধা হলো রেফারেল প্রোগ্রাম। আপনার রেফার করা ব্যবহারকারী যখন সক্রিয় হয়, তখন আপনি একটি বড় পরিমাণ বোনাস পান। তবে শুরুতে আয় ধীরগতিতে হয়, তাই নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে হবে।

১৬. Gift Wallet

Gift Wallet একটি জনপ্রিয় রিওয়ার্ড অ্যাপ যেখানে বিভিন্ন কাজ করে আয় করা যায়, বিশেষ করে বিজ্ঞাপন দেখা, ভিডিও দেখা এবং অ্যাপ ডাউনলোড করা। প্রতিটি কাজ শেষে ব্যবহারকারী “Coins” পান, যেগুলো PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়।

Gift Wallet এর বিশেষ ফিচার হলো এর সহজ ইন্টারফেস। নতুন ব্যবহারকারীরাও খুব সহজে বুঝে নিতে পারেন কিভাবে ভিডিও দেখতে হবে বা অ্যাড ক্লিক করতে হবে। প্রতিদিন নতুন অফার এবং বিজ্ঞাপন যোগ হয়, তাই নিয়মিত ব্যবহার করলে আয় বাড়ানো সম্ভব।

বাংলাদেশ থেকেও এই অ্যাপ ব্যবহার করা যায়, তবে কিছু অফার শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দেশগুলোর জন্য থাকে। তবুও ধৈর্য ধরে ব্যবহার করলে এটি একটি ভালো সাইড ইনকাম হতে পারে।

১৭. CheckPoints

CheckPoints একটি পুরোনো ও নির্ভরযোগ্য অ্যাপ যা বিজ্ঞাপন, ভিডিও দেখা এবং প্রোডাক্ট স্ক্যান করার মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়। বিশেষ করে সুপারমার্কেট বা শপিং মলে গেলে বারকোড স্ক্যান করে বাড়তি পয়েন্ট আয় করা যায়।

অ্যাপটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর পেমেন্ট সিস্টেম। PayPal ক্যাশ ছাড়াও Amazon, Walmart, BestBuy সহ জনপ্রিয় গিফটকার্ডে টাকা তোলা যায়। এ ছাড়া বন্ধুদের রেফার করলেও ইনকাম বাড়ানো সম্ভব।

CheckPoints এর সীমাবদ্ধতা হলো অনেক সময় বিজ্ঞাপন সীমিত থাকে, তবে সার্ভে ও অফার পূরণ করে সেই ঘাটতি পূরণ করা যায়। তাই এটিকে বহুমুখী ইনকাম প্ল্যাটফর্ম বলা যায়।

১৮. CashPirate Buzz

CashPirate Buzz একটি বহুমুখী ইনকাম অ্যাপ যেখানে বিজ্ঞাপন দেখা, ছোট ভিডিও দেখা, নতুন অ্যাপ ট্রাই করা এবং সার্ভে পূরণ করার মাধ্যমে আয় করা যায়। প্রতিটি টাস্ক শেষে পয়েন্ট জমে, যেগুলো PayPal ক্যাশে রূপান্তরযোগ্য।

অ্যাপটির অন্যতম আকর্ষণ হলো “Referral Tree”। আপনি যদি কাউকে আমন্ত্রণ জানান, তাদের আয়ের একটি অংশ বোনাস হিসেবে আপনার একাউন্টেও জমা হয়। ফলে দীর্ঘমেয়াদে বড় ইনকাম তৈরি করা সম্ভব হয়।

বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য CashPirate Buzz একটি ভালো সাইড ইনকাম উৎস হতে পারে, যদিও শুরুতে আয় ধীরগতিতে হয়। তবে নিয়মিত কাজ করলে মাস শেষে একটি উল্লেখযোগ্য অঙ্ক দাঁড়ায়।

১৯. GrabPoints

GrabPoints এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা বিশেষ করে বিজ্ঞাপন দেখা, ভিডিও দেখা এবং সার্ভে পূরণের মাধ্যমে দ্রুত আয়ের সুযোগ দেয়। প্রতিটি ভিডিও দেখে নির্দিষ্ট পয়েন্ট জমে এবং পয়েন্ট PayPal ক্যাশ, গিফটকার্ড বা মোবাইল রিচার্জে রূপান্তর করা যায়।

GrabPoints এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো উচ্চ রিওয়ার্ড রেট। অনেক সময় একই বিজ্ঞাপন অন্য অ্যাপে কম রিওয়ার্ড দিলেও GrabPoints এ বেশি পয়েন্ট দেয়। ফলে এটি ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এছাড়া রেফারেল সিস্টেমও শক্তিশালী। আপনি যত বেশি বন্ধু আমন্ত্রণ করবেন, তত বেশি বোনাস ইনকাম করবেন। তবে ধৈর্য ধরে প্রতিদিন কিছু সময় দিতে হবে যেন ইনকাম ধীরে ধীরে জমে।

২০. LuckyCash

LuckyCash অ্যাপটি মূলত বিজ্ঞাপন দেখা এবং ছোট টাস্ক করার মাধ্যমে আয় করার একটি প্ল্যাটফর্ম। প্রতিটি অ্যাড বা ভিডিও দেখার পর নির্দিষ্ট সংখ্যক পয়েন্ট দেওয়া হয়। এই পয়েন্ট PayPal, Amazon এবং iTunes গিফটকার্ডে রূপান্তরযোগ্য।

অ্যাপটির অন্যতম সুবিধা হলো দ্রুত পেমেন্ট সিস্টেম। ন্যূনতম ব্যালেন্স জমলেই কয়েক দিনের মধ্যে ক্যাশআউট করা যায়। ফলে ব্যবহারকারীরা অনেক বেশি আশ্বস্ত থাকেন।

LuckyCash আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশ থেকেও ব্যবহার করা সম্ভব। তবে এখানে বিজ্ঞাপনের সংখ্যা প্রতিদিন সীমিত থাকে, তাই নিয়মিত ব্যবহার করলে তবেই ভালো ইনকাম হয়।

২১. Rewardy

Rewardy একটি সহজ কিন্তু কার্যকর রিওয়ার্ড অ্যাপ। এখানে মূলত বিজ্ঞাপন দেখা, ছোট সার্ভে পূরণ এবং অফার কমপ্লিট করার মাধ্যমে আয় করা যায়। প্রতিটি বিজ্ঞাপন শেষে ব্যবহারকারীরা “Reward Points” পান।

Rewardy এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো PayPal এবং জনপ্রিয় গিফটকার্ডে ক্যাশআউট করার সুযোগ। ন্যূনতম ব্যালেন্স তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় ব্যবহারকারীরা দ্রুত ইনকাম তুলতে পারেন।

অ্যাপটির সীমাবদ্ধতা হলো নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য প্রথমে সীমিত বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তবে নিয়মিত কাজ করলে ধীরে ধীরে বেশি টাস্ক পাওয়া শুরু হয়। ফলে দীর্ঘমেয়াদে এটি একটি নির্ভরযোগ্য ইনকাম উৎস হতে পারে।

২২. Make Money – Free Cash App

Make Money অ্যাপটি একটি জনপ্রিয় রিওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম যেখানে ছোট ছোট কাজের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখে আয় করা যায়। প্রতিটি টাস্ক শেষ করলে কয়েন পাওয়া যায় এবং সেই কয়েন PayPal ক্যাশে রূপান্তর করা যায়।

অ্যাপটির বিশেষ সুবিধা হলো এখানে ন্যূনতম ক্যাশআউট লিমিট তুলনামূলকভাবে কম। ফলে নতুন ব্যবহারকারীরা দ্রুত প্রথম পেমেন্ট তুলতে পারেন। এটি অনেকের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।

বাংলাদেশ থেকেও অ্যাপটি ব্যবহারযোগ্য। প্রতিদিন সীমিত সংখ্যক বিজ্ঞাপন থাকলেও নিয়মিত ব্যবহার করলে মাসে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

২৩. AppKarma

AppKarma একটি বহুমুখী ইনকাম অ্যাপ যেখানে ভিডিও অ্যাড, অফার কমপ্লিট এবং অ্যাপ টেস্ট করার মাধ্যমে আয় হয়। প্রতিবার ভিডিও দেখলে ব্যবহারকারীরা পয়েন্ট পান, যা PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তরযোগ্য।

অ্যাপটির বড় সুবিধা হলো “Achievement Bonus” সিস্টেম। নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করলে বাড়তি বোনাস পাওয়া যায়। এছাড়া রেফারেল প্রোগ্রামও শক্তিশালী, ফলে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বেশি আয় করা যায়।

বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করে PayPal ছাড়াও বিভিন্ন গিফটকার্ডে ইনকাম তুলতে পারেন। নিয়মিতভাবে কয়েক মাস ব্যবহার করলে এটি থেকে স্থায়ী একটি সাইড ইনকাম তৈরি করা সম্ভব।

২৪. PointsPrizes

PointsPrizes একটি অনলাইন GPT (Get-Paid-To) প্ল্যাটফর্ম, যা অ্যাপ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এখানে ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখা, সার্ভে পূরণ, এবং অফার কমপ্লিট করে পয়েন্ট সংগ্রহ করা যায়।

এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো বড় পরিসরে গিফটকার্ড এবং PayPal ক্যাশআউট অপশন। ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পুরস্কার বেছে নিতে পারেন। এছাড়া নিয়মিত ব্যবহার করলে “Premium Points” বোনাসও পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ থেকে কাজ করা গেলেও অনেক অফার নির্দিষ্ট দেশগুলোর জন্য সীমাবদ্ধ। তবে ভিডিও অ্যাড এবং সার্ভে অংশ নিয়মিত ব্যবহার করলে একটি ভালো সাইড ইনকাম পাওয়া সম্ভব।

২৫. CashApp – Play and Earn

CashApp (Play and Earn) একটি জনপ্রিয় ইনকাম অ্যাপ যেখানে বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখে আয় করার পাশাপাশি নতুন গেম খেলেও রিওয়ার্ড পাওয়া যায়। প্রতিটি ভিডিও দেখার পর পয়েন্ট জমে, যা PayPal বা গিফটকার্ডে রূপান্তরযোগ্য।

অ্যাপটির বিশেষ ফিচার হলো গেম প্লে বোনাস। নতুন ব্যবহারকারীরা শুধু অ্যাড নয়, বরং গেম খেলে বাড়তি পয়েন্ট উপার্জন করতে পারেন। এর ফলে আয়ের উৎস আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প, কারণ বিজ্ঞাপন ও ভিডিও প্রতিদিন সহজেই পাওয়া যায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে মাসে ছোটখাটো ইনকাম জমা হতে থাকে।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

২৬. AppLike

AppLike মূলত নতুন অ্যাপ ও গেম টেস্ট করার জন্য তৈরি, তবে এখানে বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। প্রতিটি কাজ শেষে “Coins” দেওয়া হয় এবং তা PayPal বা গিফটকার্ডে রূপান্তরযোগ্য।

এই অ্যাপটির একটি সুবিধা হলো ব্যবহারকারীদের আগ্রহ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন ও কনটেন্ট দেখানো হয়। যেমনঃ গেম পছন্দ করলে গেম-সম্পর্কিত অ্যাড বেশি আসবে। এতে ব্যবহারকারীরা একঘেয়েমি অনুভব করেন না।

AppLike ইউরোপ ও আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয়, তবে বাংলাদেশ থেকেও ব্যবহার করা যায়। আয়ের হার খুব বেশি না হলেও নিয়মিত ব্যবহার করলে এটি থেকে একটি ভালো সাইড ইনকাম পাওয়া সম্ভব।

২৭. AdGate Rewards

AdGate Rewards মূলত একটি অফারওয়াল নেটওয়ার্ক, যা বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকে। এখানে ভিডিও বিজ্ঞাপন ও অ্যাড দেখে আয় করা যায়। পয়েন্টগুলো PayPal, গিফটকার্ড, এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও রূপান্তর করা যায়।

এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি অনেক বড় বড় রিওয়ার্ড অ্যাপের সাথে পার্টনারশিপ করে। ফলে ব্যবহারকারীরা একাধিক প্ল্যাটফর্ম থেকে AdGate এর বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করলে বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কিছুটা সীমিত হতে পারে, তবে ধৈর্য ধরে কাজ করলে একটি নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস হতে পারে।

২৮. Lucky Day

Lucky Day মূলত একটি লটারি ও স্ক্র্যাচ কার্ড গেম অ্যাপ, তবে এখানে বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখেও আয় করা যায়। প্রতিটি বিজ্ঞাপন শেষে কয়েন জমে, যা PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তরযোগ্য।

অ্যাপটির বিশেষ আকর্ষণ হলো ফ্রি স্ক্র্যাচ কার্ড এবং র‍্যাফেল টিকিট। এগুলো ব্যবহার করে বড় পুরস্কার জেতার সুযোগ থাকে। বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণত ছোট আকারের হয়, তাই দ্রুত দেখা যায়।

বাংলাদেশ থেকে ব্যবহারযোগ্য হলেও বড় পুরস্কার সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবহারকারীদের জন্য বেশি সুযোগ দেয়। তবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ছোটখাটো ইনকাম সহজেই পাওয়া যায়।

২৯. Cashzine

Cashzine মূলত একটি নিউজ-রিডিং ও রিওয়ার্ড অ্যাপ, যেখানে নিউজ পড়া, শেয়ার করা এবং বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে আয় করা যায়। প্রতিটি নিউজ ক্লিক বা অ্যাড দেখার পর কয়েন জমে, যা পরে PayPal ক্যাশে রূপান্তর করা যায়।

অ্যাপটির অন্যতম সুবিধা হলো একসাথে বিনোদন ও আয় করা। ব্যবহারকারীরা নিউজ পড়তে পড়তেই পয়েন্ট জমাতে পারেন। প্রতিদিন নতুন নিউজ ও বিজ্ঞাপন যোগ হওয়ায় নিয়মিত ইনকাম করা সম্ভব হয়।

বাংলাদেশ থেকেও Cashzine ব্যবহার করা যায়। তবে এখানে ইনকাম তুলনামূলক ধীরগতিতে জমে। ধৈর্য ধরে কাজ করলে মাস শেষে একটি ভালো সাইড ইনকাম তৈরি হতে পারে।

৩০. CashApp Rewards

CashApp Rewards একটি সহজ রিওয়ার্ড অ্যাপ, যেখানে বিজ্ঞাপন দেখা, ছোট সার্ভে করা এবং অফার কমপ্লিট করার মাধ্যমে আয় করা যায়। প্রতিটি টাস্কের পর কয়েন জমে, যা PayPal বা গিফটকার্ডে তোলা যায়।

অ্যাপটির ইন্টারফেস সহজ ও ব্যবহারবান্ধব। নতুন ব্যবহারকারীরা সহজেই বুঝে নিতে পারেন কিভাবে ভিডিও অ্যাড দেখতে হবে। এছাড়াও এখানে দৈনিক লগইন বোনাস দেওয়া হয়।

বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বেশ কার্যকর, কারণ পেমেন্ট তুলতে ন্যূনতম কয়েন কম লাগে। তবে বিজ্ঞাপন প্রতিদিন সীমিত থাকে, তাই আয় ধীরে ধীরে জমে।

৩১. Toluna Influencers

Toluna Influencers একটি জনপ্রিয় সার্ভে ও রিওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিজ্ঞাপন ও ভিডিও ক্লিপ দেখে আয় করার সুযোগও রয়েছে। প্রতিটি কাজ শেষে ব্যবহারকারীরা পয়েন্ট পান, যা PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তরযোগ্য।

এর বিশেষ ফিচার হলো বড় ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করার সুযোগ। অনেক সময় নতুন প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন ও রিভিউ ভিডিও দেখতে বলা হয়। এতে ব্যবহারকারীরা শুধু আয়ই করেন না, বরং বাজার সম্পর্কে নতুন তথ্যও জানতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকেও Toluna ব্যবহারযোগ্য। যদিও সার্ভে তুলনামূলক কম পাওয়া যায়, তবে ভিডিও অ্যাড এবং বিজ্ঞাপন অংশ ব্যবহার করে ইনকাম করা সম্ভব।

৩২. PrizeRebel

PrizeRebel একটি পুরোনো GPT সাইট, তবে এর মোবাইল অ্যাপও রয়েছে। এখানে বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখে, সার্ভে পূরণ করে এবং ছোট টাস্ক শেষ করে পয়েন্ট আয় করা যায়।

PrizeRebel-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ফাস্ট পেমেন্ট সিস্টেম। ব্যবহারকারীরা ন্যূনতম ৫ ডলার জমলেই PayPal বা গিফটকার্ডে ক্যাশআউট করতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে ব্যবহারযোগ্য হলেও কিছু বিজ্ঞাপন ও অফার নির্দিষ্ট দেশের জন্য থাকে। তবে ভিডিও অ্যাড অংশ নিয়মিত করলে ধীরে ধীরে একটি ভালো সাইড ইনকাম পাওয়া যায়।

৩৩. Big Token

Big Token হলো একটি ডেটা-শেয়ারিং ও রিওয়ার্ড অ্যাপ, যেখানে বিজ্ঞাপন দেখা, ছোট সার্ভে পূরণ এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করা যায়। প্রতিটি কাজের পর পয়েন্ট জমে, যা PayPal ক্যাশে রূপান্তরযোগ্য।

অ্যাপটির বৈশিষ্ট্য হলো স্বচ্ছতা। ব্যবহারকারীরা জানেন কোন তথ্য তারা দিচ্ছেন এবং কিভাবে সেটি ব্যবহার হচ্ছে। বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণত ব্যবহারকারীর আগ্রহভিত্তিক হয়, ফলে দেখতে বিরক্তি লাগে না।

বাংলাদেশ থেকেও অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়, যদিও আয়ের হার তুলনামূলক ধীর। তবে ধৈর্য ধরে কাজ করলে মাস শেষে কিছুটা উল্লেখযোগ্য ইনকাম হয়।

৩৪. Loot.tv

Loot.tv একটি ভিডিও ও বিজ্ঞাপন দেখার প্ল্যাটফর্ম। ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ক্যাটেগরির ভিডিও (যেমন এন্টারটেইনমেন্ট, স্পোর্টস, লাইফস্টাইল) দেখে পয়েন্ট জমাতে পারেন। এই পয়েন্ট PayPal, গিফটকার্ড বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে রিডিম করা যায়।

অ্যাপটির সুবিধা হলো ২৪/৭ ভিডিও প্লে করার সুযোগ। অনেক ব্যবহারকারী পুরোনো ফোন বা ট্যাবলেটে অ্যাপ চালিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে পয়েন্ট জমিয়ে রাখেন।

বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্যও এটি উপযোগী, যদিও বিজ্ঞাপনগুলো প্রায়শই নির্দিষ্ট দেশের জন্য বেশি পাওয়া যায়। তবুও ধৈর্য ধরে ব্যবহার করলে মাসে ছোটখাটো আয় করা যায়।

৩৫. ZoomBucks

ZoomBucks একটি GPT সাইট ও অ্যাপ, যেখানে বিজ্ঞাপন দেখা, ভিডিও দেখা, সার্ভে পূরণ এবং অফার কমপ্লিট করে আয় করা যায়। প্রতিটি কাজ শেষে পয়েন্ট জমে, যা PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তরযোগ্য।

ZoomBucks-এর একটি ভালো দিক হলো সহজ পেমেন্ট সিস্টেম। ন্যূনতম ব্যালেন্স জমলেই দ্রুত ক্যাশআউট করা যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ভিডিও চ্যানেল থেকে কনটেন্ট পাওয়া যায়, ফলে একঘেয়েমি লাগে না।

বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করে ছোটখাটো সাইড ইনকাম করতে পারেন। যদিও প্রতিদিন বিজ্ঞাপনের সংখ্যা সীমিত থাকে, তবে নিয়মিত হলে ভালো অঙ্ক জমে।

৩৬. Cointiply

Cointiply একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি রিওয়ার্ড অ্যাপ, যেখানে ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপন দেখে, সার্ভে করে এবং ছোট টাস্ক শেষ করে আয় করতে পারেন। এখানে পেমেন্ট মূলত বিটকয়েন, ডজকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টো আকারে পাওয়া যায়।

অ্যাপটির অন্যতম আকর্ষণ হলো প্রতিদিন নতুন ভিডিও বিজ্ঞাপন ও অফার যোগ হয়। ব্যবহারকারীরা ভিডিও দেখে কয়েন জমাতে পারেন এবং চাইলে ক্রিপ্টো ওয়ালেটে ট্রান্সফার করতে পারেন।

বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারেন। যারা ক্রিপ্টোতে আয় করতে চান তাদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম। তবে আয়ের গতি ধীরে ধীরে বাড়ে, তাই ধৈর্য জরুরি।

৩৭. FeaturePoints

FeaturePoints বহুদিন ধরে জনপ্রিয় একটি রিওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিজ্ঞাপন দেখা, নতুন অ্যাপ ইন্সটল করা এবং সার্ভে পূরণ করার মাধ্যমে আয় করা যায়। অ্যাপটির সুবিধা হলো সহজে PayPal, গিফটকার্ড বা ক্রিপ্টো আকারে পেমেন্ট তোলা যায়।

ব্যবহারকারীরা চাইলে রেফার সিস্টেম থেকেও বাড়তি ইনকাম করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকেও FeaturePoints ব্যবহারযোগ্য। যদিও কিছু অফার নির্দিষ্ট দেশের জন্য, তবুও ভিডিও অ্যাড অংশ থেকে ধীরে ধীরে আয় করা যায়।

৩৮. ySense

ySense একটি পুরোনো GPT প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিজ্ঞাপন দেখা, সার্ভে পূরণ এবং ছোট কাজ করে আয় করা যায়। এটির মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই কাজ করা যায়। অ্যাপটির অন্যতম সুবিধা হলো নিয়মিত বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন দেশের জন্য উন্মুক্ত টাস্ক।

PayPal ও Payoneer এর মাধ্যমে সহজে ক্যাশআউট করা যায়। বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য ySense একটি ভালো অপশন, কারণ এখানে সার্ভের পাশাপাশি ভিডিও বিজ্ঞাপনও পাওয়া যায়। নিয়মিত কাজ করলে একটি ভালো সাইড ইনকাম হয়।

৩৯. FusionCash

FusionCash একটি রিওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপন দেখে, সার্ভে পূরণ করে এবং রিভিউ দিয়ে আয় করতে পারেন। প্রতিটি ভিডিও বিজ্ঞাপনের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ দেওয়া হয়। অ্যাপটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সরাসরি ডলার আকারে পেমেন্ট পাওয়া যায়।

এছাড়া রেফার বোনাসও রয়েছে, যা আয় বাড়াতে সাহায্য করে। যদিও FusionCash মূলত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশি জনপ্রিয়, তবে কিছু ফিচার বাংলাদেশ থেকেও ব্যবহারযোগ্য। ধীরে ধীরে ভিডিও দেখে ইনকাম করা সম্ভব।

৪০. QuickRewards

QuickRewards একটি সহজ রিওয়ার্ড সাইট ও অ্যাপ, যেখানে বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখে আয় করা যায়। এখানে PayPal এর মাধ্যমে ছোট পরিমাণেও ক্যাশআউট করা সম্ভব। অ্যাপটির বিশেষত্ব হলো “No Minimum Payout” ফিচার।

অর্থাৎ খুব অল্প অর্থ জমলেও তা তুলতে পারবেন। তাই নতুনদের জন্য এটি ভালো অপশন। বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপন দেখে ধীরে ধীরে আয় করতে পারবেন। যদিও অনেক অফার নির্দিষ্ট দেশের জন্য থাকে, তবুও ভিডিও বিজ্ঞাপন অংশ সব দেশের জন্য খোলা থাকে।

৪১. Ibotta

Ibotta মূলত ক্যাশব্যাক অ্যাপ হলেও বিজ্ঞাপন ও প্রোমো ভিডিও দেখেও আয় করা যায়। ব্যবহারকারীরা প্রোডাক্ট অ্যাড দেখে বোনাস পান এবং শপিং করলে বাড়তি ক্যাশব্যাক যুক্ত হয়। অ্যাপটির বড় সুবিধা হলো শপিং এর সাথে আয় করা।

যারা অনলাইনে কেনাকাটা করেন, তাদের জন্য এটি একটি ডাবল বেনিফিট অ্যাপ। যদিও এটি যুক্তরাষ্ট্রে বেশি জনপ্রিয়, তবে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপন দেখার অংশ ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন।

৪২. Surfe.be

Surfe.be একটি ব্রাউজার এক্সটেনশন ও মোবাইল অ্যাপ, যেখানে ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে পারেন। প্রতিটি বিজ্ঞাপন ব্যানার বা ভিডিও আকারে আসে। অ্যাপটির বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিদিন অসংখ্য বিজ্ঞাপন পাওয়া যায়।

ব্যবহারকারীরা ব্রাউজ করার সময়ও বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায় এবং আয় সরাসরি PayPal বা ক্রিপ্টো আকারে তোলা যায়। যারা প্রতিদিন বেশি সময় অনলাইনে থাকেন তাদের জন্য এটি ভালো অপশন।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম – অনলাইন আয়ের সেরা ১০টি উপায়

FAQs:

১. অ্যাড দেখে টাকা আয় করা কি সত্যি সম্ভব?

হ্যাঁ, একদম সম্ভব। অনেক রিওয়ার্ড অ্যাপ ও ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে। তবে ইনকাম সাধারণত ছোট অঙ্কে হয় এবং ধীরে ধীরে জমে। নিয়মিত ব্যবহার করলে মাস শেষে ভালো অঙ্কে রূপান্তর করা যায়।

২. কোন কোন অ্যাপ সবচেয়ে বিশ্বস্ত?

Swagbucks, InboxDollars, ClipClaps, Cointiply, FeaturePoints, ySense এবং Loot.tv এ ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলো অনেকদিন ধরে বিশ্বস্তভাবে পেমেন্ট দিচ্ছে। এগুলো ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় এবং প্রমাণিতভাবে টাকা প্রদান করেছে।

৩. বাংলাদেশ থেকে কি এসব অ্যাপ ব্যবহার করা যায়?

হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকেও অনেক অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। তবে কিছু অ্যাপের বিজ্ঞাপন ও অফার নির্দিষ্ট দেশের জন্য সীমিত থাকে। এজন্য বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা সাধারণত ভিডিও অ্যাড অংশ থেকে বেশি আয় করতে পারেন।

৪. কিভাবে টাকা পাওয়া যায়?

বেশিরভাগ অ্যাপ PayPal, Payoneer, ক্রিপ্টোকারেন্সি (Bitcoin, Dogecoin, Litecoin ইত্যাদি) অথবা গিফটকার্ড (Amazon, Google Play ইত্যাদি) এর মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়।

বাংলাদেশে PayPal সরাসরি না থাকায় সাধারণত এক্সচেঞ্জার বা গিফটকার্ড রূপান্তর করে টাকা তোলা হয়। কিছু ক্ষেত্রে বিকাশ বা নগদেও ট্রান্সফার করা যায়।

৫. প্রতিদিন কত টাকা ইনকাম করা যায়?

আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে কোন অ্যাপ ব্যবহার করছেন এবং কত সময় দিচ্ছেন তার উপর। সাধারণত প্রতিদিন ১ থেকে ৩ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় যদি নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেখা হয়। তবে কিছু অ্যাপে কম সময় দিলে প্রতিদিন কয়েক সেন্ট মাত্র জমে।

৬. অ্যাপগুলো ব্যবহার করা কি নিরাপদ?

বিশ্বস্ত অ্যাপগুলো নিরাপদ। তবে প্লে স্টোর বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত। ফেক অ্যাপ বা অজানা উৎস থেকে অ্যাপ নামানো এড়ানো ভালো, কারণ তাতে ডাটা চুরি বা স্ক্যামের ঝুঁকি থাকতে পারে।

৭. কিভাবে বেশি আয় করা সম্ভব?

  • প্রতিদিন নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেখা।
  • রেফারেল সিস্টেম ব্যবহার করা।
  • অফার ও সার্ভে অংশে অংশগ্রহণ করা।
  • একসাথে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করা।
  • লগইন বোনাস ও প্রোমোশনাল অফার কাজে লাগানো।

৮. এ ধরনের আয় কি ফুল-টাইম আয়ের জন্য যথেষ্ট?

না, এসব অ্যাপ মূলত সাইড ইনকামের জন্য ভালো। ফুল-টাইম আয় করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ইউটিউব বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মতো বড় উৎস ব্যবহার করা উচিত। বিজ্ঞাপন দেখে আয় করা সাধারণত অতিরিক্ত খরচ মেটানোর জন্য উপযুক্ত।

Leave a Comment