বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা

বর্তমানে অনেক অ্যাপস ও ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এমনকি তারও বেশি আয় করা সম্ভব। সার্ভে করা, গেম খেলা, রেফার করা, ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেওয়াবসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজাকিংবা শপিংয়ের ক্যাশব্যাক নেওয়ার মতো কাজগুলো এখন ইনকামের জনপ্রিয় উপায়। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কিছু বিশ্বস্ত ইনকাম অ্যাপ সম্পর্কে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি বাড়িতে বসেই আয় করতে পারবেন।

বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা?

নিচে বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

1. Survey Junkie

Survey Junkie হলো একটি জনপ্রিয় সার্ভে-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন মার্কেট রিসার্চ সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে টাকা আয় করতে পারেন। এখানে মূলত বিজ্ঞাপনদাতা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে মানুষের মতামত জানতে চায়।

আপনার উত্তরগুলো তাদের ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে, আর আপনিও এর বিনিময়ে ইনকাম পান। কাজ করার প্রক্রিয়া খুব সহজ। অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করলে আপনার আগ্রহ অনুযায়ী সার্ভে রেকমেন্ড করা হয়।

প্রতিটি সার্ভের জন্য নির্দিষ্ট পয়েন্ট থাকে, যা জমা করে পরে টাকা বা গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়। সাধারণত প্রতিটি সার্ভে ৫ থেকে ৩০ মিনিটের হয়। Survey Junkie তে আয় মূলত PayPal বা গিফটকার্ডের মাধ্যমে তোলা যায়।

নিয়মিত সার্ভে করলে দিনে ১০০–২০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব। যারা অবসর সময়ে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের জন্য এটি একটি দারুণ উপায়।

2. MISTPLAY

MISTPLAY একটি অ্যান্ড্রয়েড গেমিং অ্যাপ যা গেম খেলে টাকা আয় করার সুযোগ দেয়। এখানে গেমাররা বিভিন্ন নতুন গেম ডাউনলোড করে খেলেন এবং এর মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করেন। পয়েন্টগুলোকে পরবর্তীতে গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়, যেমন: Amazon, Google Play বা PayPal ব্যালেন্স।

অ্যাপটি মূলত গেমারদের জন্য ডিজাইন করা হলেও, নতুন ব্যবহারকারীরাও সহজেই শুরু করতে পারেন। শুধু গেম ডাউনলোড করে খেলার মাধ্যমে পয়েন্ট জমা হয়। প্রতিটি গেমে আলাদা সময় ও লেভেল অনুযায়ী আয়ের পরিমাণ নির্ধারিত থাকে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

যারা গেম খেলতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি শুধু বিনোদন নয় বরং আয়ের মাধ্যমও। দিনে ৩০–৬০ মিনিট গেম খেলেই ছোট খাটো ইনকাম সম্ভব, বিশেষ করে শিক্ষার্থী বা গৃহিণীদের জন্য।

3. Google Opinion Rewards

Google Opinion Rewards হলো গুগলের অফিসিয়াল সার্ভে অ্যাপ যেখানে ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর দিয়ে টাকা আয় করা যায়। সাধারণত এই সার্ভেগুলো ১–৫ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয় এবং ব্যবহারকারীরা Google Play ক্রেডিট বা PayPal ক্যাশ পেয়ে থাকেন।

অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য প্রথমে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে। এরপর গুগল আপনার লোকেশন, আগ্রহ এবং ব্যবহার অনুযায়ী ছোট সার্ভে পাঠায়। প্রতিটি সার্ভের জন্য কয়েক টাকা থেকে শুরু করে কয়েক ডলার পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে।

এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সার্ভেগুলো অনেক ছোট ও সহজ হয়, তাই যেকোনো সময়, যেমন বাসে যাত্রা করার সময় বা অবসরে কয়েক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব। যারা সহজে এবং ঝামেলাহীনভাবে আয় করতে চান, তাদের জন্য এটি সেরা অ্যাপগুলোর একটি।

4. InboxDollars

InboxDollars হলো একটি বহুমুখী ইনকাম প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা সার্ভে করা, ভিডিও দেখা, ইমেইল পড়া, অনলাইন শপিং এবং গেম খেলার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে বেশি জনপ্রিয় হলেও অন্যান্য দেশের ব্যবহারকারীরাও কিছু কাজ করতে পারেন।

অ্যাপটি ব্যবহারের সময় আপনাকে বিভিন্ন ছোট টাস্ক দেওয়া হয়। প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট টাকা অ্যাকাউন্টে যোগ হয়। উদাহরণস্বরূপ: একটি ভিডিও দেখার জন্য ১–২ টাকা পাওয়া যেতে পারে, আবার একটি পূর্ণ সার্ভে সম্পন্ন করলে ৫০–১০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

InboxDollars এর বিশেষত্ব হলো এটি সরাসরি ডলার পেমেন্ট করে থাকে এবং PayPal বা গিফটকার্ডের মাধ্যমে উইথড্র করা যায়। যারা ছোট ছোট কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য উপার্জনের উৎস।

5. Solitaire Cash

Solitaire Cash হলো একটি গেমিং অ্যাপ যেখানে ক্লাসিক সলিটেয়ার গেম খেলে ইনকাম করা যায়। খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে অংশ নেন এবং জয়ী হলে ক্যাশ প্রাইজ পান। এটি বিশেষভাবে তাদের জন্য আকর্ষণীয় যারা কার্ড গেম খেলতে পছন্দ করেন।

অ্যাপটিতে সাইন আপ করার পর ফ্রি টুর্নামেন্ট খেলে অনুশীলন করা যায়। এরপর আসল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে টাকা জেতা সম্ভব। প্রতিটি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য সামান্য এন্ট্রি ফি থাকতে পারে, তবে জেতার সম্ভাবনা থাকলে এটি আয়ের ভালো মাধ্যম।

আয়ের টাকা PayPal এর মাধ্যমে সহজেই তুলে নেওয়া যায়। গেমারদের জন্য এটি একটি বিনোদন ও আয়ের মিশ্রণ, যেখানে খেলার আনন্দের সাথে সাথে ছোট আয়ের সুযোগও রয়েছে।

6. Bingo Cash

Bingo Cash হলো একটি জনপ্রিয় মোবাইল গেম যেখানে ক্লাসিক বিঙ্গো খেলেই ক্যাশ ইনকাম করা যায়। খেলোয়াড়রা রিয়েল-টাইম প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পুরস্কার জেতেন। গেমটি বিশেষভাবে তাদের জন্য যারা কার্ড-ভিত্তিক গেম খেলতে ভালোবাসেন।

খেলার নিয়ম খুব সহজ। সংখ্যাগুলো সঠিকভাবে মিলিয়ে বিঙ্গো লাইন তৈরি করতে হয়। প্রতিটি টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যাশ দেওয়া হয়। নতুন ব্যবহারকারীরা ফ্রি ম্যাচ খেলতে পারেন, পরে চাইলে পেইড টুর্নামেন্টে যোগ দিয়ে বেশি আয়ের সুযোগ নিতে পারেন।

Bingo Cash এর বিশেষ সুবিধা হলো এখানে দ্রুত ম্যাচ হয় এবং প্রতিদিন একাধিকবার খেলার সুযোগ থাকে। আয়কৃত টাকা PayPal এর মাধ্যমে সহজেই তুলে নেওয়া যায়, যা এটিকে গেমপ্রেমীদের জন্য এক আকর্ষণীয় আয়ের উৎস বানিয়েছে।

7. Branded Surveys

Branded Surveys হলো একটি ট্রাস্টেড সার্ভে প্ল্যাটফর্ম যা মার্কেট রিসার্চের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আয়ের সুযোগ দেয়। এখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে গ্রাহকদের মতামত জানতে সার্ভে তৈরি করে, আর ব্যবহারকারীরা উত্তর দিয়ে পয়েন্ট অর্জন করেন।

অ্যাপে সাইন আপ করার পর প্রোফাইল সম্পূর্ণ করলে আপনার আগ্রহ অনুযায়ী সার্ভে দেওয়া হয়। প্রতিটি সার্ভে সম্পূর্ণ করলে ৫০–৩০০ পয়েন্ট পর্যন্ত পাওয়া যায়, যা PayPal, গিফটকার্ড বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে রিডিম করা যায়।

Branded Surveys এর আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো “ডেইলি পোল” এবং বোনাস সিস্টেম। নিয়মিত সক্রিয় থাকলে বেশি ইনকাম হয়। যারা ধৈর্য ধরে প্রতিদিন কিছু সময় দিতে চান তাদের জন্য এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ইনকাম অপশন।

8. Swagbucks

Swagbucks হলো অনলাইন ইনকামের সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় সাইটগুলোর একটি। এখানে ব্যবহারকারীরা সার্ভে, ভিডিও দেখা, গেম খেলা, শপিং ক্যাশব্যাক এবং ছোট ছোট টাস্ক সম্পন্ন করে পয়েন্ট অর্জন করতে পারেন।

Swagbucks এর প্রধান মুদ্রা হলো “SB পয়েন্ট”। প্রতিটি টাস্ক সম্পন্ন করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়। নতুন ব্যবহারকারীরা শুধু সাইন আপ করেই প্রাথমিক বোনাস পান।

এই প্ল্যাটফর্মের বিশেষ সুবিধা হলো বহুমুখী আয়ের পথ। যারা কেবল সার্ভে করতে চান বা ভিডিও দেখতে ভালোবাসেন, তারা নিজেদের সুবিধামতো উপায় বেছে নিতে পারেন। ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করলে দিনে ২০০–৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব।

9. Freecash

Freecash হলো একটি টাস্ক-ভিত্তিক আয় করার প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা ছোট ছোট অফার সম্পন্ন করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অফারগুলোর মধ্যে থাকে অ্যাপ ডাউনলোড করা, সার্ভে করা, গেম খেলা অথবা ওয়েবসাইটে সাইন আপ করা।

অ্যাপটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। প্রতিটি টাস্কের জন্য নির্দিষ্ট ডলার দেওয়া হয়, যা সম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকাউন্টে যুক্ত হয়। বিশেষ করে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি একটি দ্রুত আয়ের উপায়, কারণ প্রতিদিন নতুন অফার যুক্ত হয়।

Freecash এর আয় PayPal, ক্রিপ্টোকারেন্সি (Bitcoin, Ethereum) বা গিফটকার্ডের মাধ্যমে তুলতে পারেন। এটি তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় কারণ এখানে আয় করার পথগুলো দ্রুত এবং বৈচিত্র্যময়।

10. Ibotta

Ibotta হলো একটি ক্যাশব্যাক অ্যাপ যা মূলত শপিং প্রেমীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে অনলাইনে বা অফলাইনে কেনাকাটা করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফেরত পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়, তবে আন্তর্জাতিক শপিংয়ের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়।

ব্যবহারকারীদের শুধু Ibotta অ্যাপের মাধ্যমে শপিং করতে হবে অথবা রসিদ আপলোড করতে হবে। এরপর কেনাকাটার ধরন অনুযায়ী ক্যাশব্যাক দেওয়া হয়। খাদ্যপণ্য, পোশাক এবং অনলাইন সাবস্ক্রিপশনে প্রায়ই ভালো রিওয়ার্ড পাওয়া যায়।

আয় করা টাকা PayPal, ব্যাংক ট্রান্সফার বা গিফটকার্ডে রিডিম করা যায়। যারা নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করেন তাদের জন্য Ibotta একটি বুদ্ধিমান সঞ্চয় ও আয়ের মাধ্যম।

11. KashKick

KashKick হলো একটি সহজ এবং জনপ্রিয় অনলাইন আয়ের প্ল্যাটফর্ম যেখানে ছোট ছোট কাজ করে টাকা উপার্জন করা যায়। এখানে মূলত সার্ভে, ভিডিও দেখা, ওয়েবসাইট টেস্টিং, এবং অ্যাপ ডাউনলোড করার মতো টাস্ক থাকে।

প্রতিটি টাস্কের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করা হয়। ব্যবহারকারীদের জন্য এটি অনেকটাই ঝামেলাহীন কারণ কাজগুলো খুবই ছোট এবং দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, একটি সার্ভে শেষ করতে ৫–১০ মিনিট লাগতে পারে

এবং এর বিনিময়ে কয়েক ডলার পর্যন্ত আয় হতে পারে। এছাড়া নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু প্রাথমিক বোনাসও দেওয়া হয়। KashKick এর আয় সরাসরি PayPal এ তোলা যায়।

নিয়মিত কাজ করলে মাসিক আয়ের পরিমাণ ভালো হতে পারে। যারা ফ্রি সময়কে কাজে লাগাতে চান এবং ছোট ছোট টাস্ক করতে আগ্রহী, তাদের জন্য KashKick একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।

12. Rakuten

Rakuten হলো একটি বিশ্বখ্যাত ক্যাশব্যাক এবং রিওয়ার্ডস অ্যাপ যা অনলাইনে শপিং করার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত দেয়। এখানে হাজারো জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও ই-কমার্স সাইট যুক্ত রয়েছে, তাই কেনাকাটার প্রতিটি ধাপেই সঞ্চয়ের সুযোগ থাকে।

Rakuten ব্যবহার করতে হলে প্রথমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শপিং শুরু করতে হবে। প্রতিটি কেনাকাটার পর নির্দিষ্ট শতাংশ ক্যাশব্যাক জমা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি ১০% ক্যাশব্যাক অফার থাকে এবং আপনি ১,০০০ টাকা খরচ করেন, তবে ১০০ টাকা ফেরত পাবেন।

এই আয় PayPal বা চেকের মাধ্যমে তোলা যায়। যারা নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করেন, বিশেষ করে পোশাক, ইলেকট্রনিকস বা গৃহস্থালি পণ্য, তাদের জন্য Rakuten শুধু কেনাকাটা নয় বরং আয়েরও উৎস।

13. Acorns

Acorns হলো একটি বিনিয়োগভিত্তিক অ্যাপ যা ব্যবহারকারীদের ছোট ছোট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিনিয়োগে রূপান্তর করে। অর্থাৎ এটি শুধু আয় নয় বরং দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয় ও সম্পদ বৃদ্ধির একটি স্মার্ট মাধ্যম।

অ্যাপটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো “Round-Up” ফিচার। যখনই আপনি কোনো কেনাকাটা করেন, খরচের অঙ্ককে পরবর্তী পূর্ণ সংখ্যায় রাউন্ড করে বাড়তি অংশ বিনিয়োগে চলে যায়। যেমন, যদি আপনি ৪৭ টাকা খরচ করেন, অ্যাপটি সেটিকে ৫০ টাকা করবে এবং বাড়তি ৩ টাকা বিনিয়োগ হবে।

Acorns মূলত স্টক মার্কেট এবং ETF এ বিনিয়োগ করে, যা সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। যারা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে চান এবং ছোট পরিমাণ থেকে বিনিয়োগ শুরু করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম।

আরও পড়ুনঃ সেরা ৫৮টি উপায় কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম

14. Fiverr – Freelance Service

Fiverr হলো একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের দক্ষতা বিক্রি করে আয় করতে পারেন। এখানে “Gig” তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস অফার করা হয়। যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

Fiverr এর বিশেষ সুবিধা হলো যেকোনো দক্ষতা দিয়েই কাজ শুরু করা যায়। শুরুতে $5 থেকে সার্ভিস অফার করা যায়, তবে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আয়ের পরিমাণও বাড়ে। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার, তারা Fiverr থেকে সহজেই কাজ শুরু করতে পারেন।

পেমেন্ট PayPal, ব্যাংক ট্রান্সফার বা Fiverr Revenue Card এর মাধ্যমে তোলা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের লাখো ফ্রিল্যান্সার Fiverr থেকে আয় করছেন, যা এটিকে একটি বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে।

15. CashKaro

CashKaro হলো ভারতের অন্যতম বড় ক্যাশব্যাক ও কুপন প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবহারকারীদের অনলাইন শপিংয়ের সময় অতিরিক্ত সঞ্চয় করার সুযোগ দেয়। Amazon, Flipkart সহ শতাধিক ই-কমার্স সাইট এখানে যুক্ত রয়েছে।

অ্যাপটি ব্যবহার করা সহজ। শুধু CashKaro এর লিঙ্ক দিয়ে শপিং শুরু করতে হয়। এরপর নির্দিষ্ট শতাংশ ক্যাশব্যাক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এই আয় Paytm, UPI বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে তুলতে পারেন।

CashKaro বিশেষভাবে জনপ্রিয় কারণ এখানে ক্যাশব্যাক ছাড়াও কুপন ও ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। যারা নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করেন, তাদের জন্য এটি একটি আয় ও সঞ্চয়ের ডাবল সুযোগ।

16. Fetch Rewards

Fetch Rewards হলো একটি রিসিট-স্ক্যানিং রিওয়ার্ড অ্যাপ যা ব্যবহারকারীদের শপিং করার পর ইনকাম করার সুযোগ দেয়। এখানে মূলত যেকোনো দোকান বা সুপারশপ থেকে কেনাকাটা শেষে রিসিট স্ক্যান করতে হয়। প্রতিটি রিসিটে নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জমা হয়।

অ্যাপটি ব্যবহার করা খুব সহজ। শুধু রিসিটের ছবি তুলে আপলোড করলেই পয়েন্ট পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পণ্য কিনলে অতিরিক্ত বোনাসও দেওয়া হয়। এজন্য অনেকেই দৈনন্দিন মুদি কেনাকাটার পর রিসিট স্ক্যান করে পয়েন্ট সংগ্রহ করেন।

এই পয়েন্টগুলোকে PayPal ক্যাশ বা Amazon, Walmart, Google Play সহ বিভিন্ন গিফটকার্ডে রূপান্তর করা যায়। যারা নিয়মিত কেনাকাটা করেন, তাদের জন্য Fetch Rewards একটি সহজ ও কার্যকর আয়ের উৎস।

17. Meesho

Meesho হলো ভারতের একটি জনপ্রিয় রিসেলিং ও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এখানে ব্যবহারকারীরা প্রোডাক্ট রিসেল করে লাভের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। বিশেষ করে গৃহিণী ও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি ঘরে বসে আয়ের চমৎকার উপায়।

Meesho অ্যাপ থেকে আপনি বিভিন্ন হোলসেল প্রোডাক্ট নির্বাচন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন। কেউ কিনলে আপনি কমিশন পাবেন। প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য আলাদা কমিশন নির্ধারিত থাকে, যা সরাসরি আপনার Meesho ওয়ালেটে জমা হয়।

আয়ের টাকা ব্যাংক ট্রান্সফার বা UPI এর মাধ্যমে তোলা যায়। যারা ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু বড় বিনিয়োগ করতে পারেন না, তাদের জন্য Meesho একটি নির্ভরযোগ্য অনলাইন ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম।

18. MyPoints

MyPoints হলো একটি রিওয়ার্ড-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা অনলাইন শপিং, সার্ভে, ভিডিও দেখা এবং ইমেইল পড়ার মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করতে পারেন। এটি অনেকটা Swagbucks এর মতো কাজ করে, তবে শপিং ক্যাশব্যাকে এর বিশেষ সুনাম রয়েছে।

অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পার্টনার সাইটে শপিং করলে ব্যবহারকারীরা পয়েন্ট পান। এই পয়েন্টগুলো PayPal ক্যাশ বা গিফটকার্ডে রিডিম করা যায়। এছাড়া নিয়মিত সার্ভে ও অফার সম্পন্ন করার মাধ্যমেও ভালো আয় হয়।

MyPoints দীর্ঘদিন ধরে বাজারে রয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে লক্ষাধিক ব্যবহারকারীকে পেমেন্ট করেছে। যারা শপিংয়ের সাথে সাথে বাড়তি ইনকাম চান, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ অপশন।

19. Scrambly

Scrambly হলো একটি নতুন ধরনের অনলাইন আয়ের প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা টাস্ক, সার্ভে, গেম এবং অ্যাপ টেস্টিং করে আয় করতে পারেন। এর ইন্টারফেস অনেক সহজ এবং তরুণদের জন্য বেশ আকর্ষণীয়।

এখানে প্রতিদিন নতুন নতুন অফার যুক্ত হয়। যেমন, একটি অ্যাপ ইনস্টল করে কয়েক মিনিট ব্যবহার করলেই কয়েক ডলার আয় করা সম্ভব। একইভাবে গেম খেলে বা রেজিস্ট্রেশন করে ইনকাম করা যায়।

আয়ের টাকা PayPal, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা গিফটকার্ডের মাধ্যমে তোলা যায়। যারা দ্রুত ছোটখাটো আয় করতে চান, বিশেষ করে স্টুডেন্টদের জন্য Scrambly একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম।

20. SurveyMonkey Rewards

SurveyMonkey Rewards হলো একটি সার্ভে-ভিত্তিক অ্যাপ যা মূলত মার্কেট রিসার্চের কাজে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রিওয়ার্ড পান। প্রতিটি সার্ভে সাধারণত ৫–১০ মিনিট সময় নেয়।

অ্যাপে সাইন আপ করার পর আপনার আগ্রহ অনুযায়ী সার্ভে পাঠানো হয়। প্রতিটি সার্ভের বিনিময়ে ক্যাশ বা গিফটকার্ড পাওয়া যায়। বিশেষ করে Google Play এবং Amazon গিফটকার্ড রিডিম করার সুযোগ থাকায় এটি তরুণদের কাছে জনপ্রিয়।

SurveyMonkey Rewards এর অন্যতম সুবিধা হলো সার্ভেগুলো খুব ছোট এবং সহজ হয়। অবসর সময়ে কয়েক মিনিট ব্যয় করেই আয় করা সম্ভব। যারা ঝামেলাহীন আয়ের পথ খুঁজছেন তাদের জন্য এটি একটি ভালো সমাধান।

21. Uber

Uber হলো একটি জনপ্রিয় রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ যা ড্রাইভারদের জন্য আয়ের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। যারা গাড়ি চালাতে পারেন, তারা Uber এ ড্রাইভার হিসেবে যুক্ত হয়ে প্রতিদিন যাত্রী পরিবহন করে টাকা আয় করতে পারেন। এটি বিশেষভাবে ফ্লেক্সিবল কারণ নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করা যায়।

অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করার পর ড্রাইভারকে গাড়ির ডকুমেন্ট ও নিজের তথ্য ভেরিফাই করতে হয়। এরপর কাছাকাছি যাত্রীদের রাইড রিকোয়েস্ট পাওয়া যায়। প্রতিটি রাইড শেষে নির্দিষ্ট ভাড়া অ্যাকাউন্টে জমা হয়, আর যাত্রীদের রেটিং ড্রাইভারের প্রোফাইলকে আরও শক্তিশালী করে।

Uber এ আয় সরাসরি ব্যাংক বা মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে তোলা যায়। যারা ফুল-টাইম বা পার্ট-টাইম ড্রাইভিং করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি স্থিতিশীল আয়ের উৎস।

22. Upwork for Freelancers

Upwork for Freelancers হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর একটি। এখানে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, মার্কেটিংসহ শতাধিক ক্যাটাগরিতে কাজ পাওয়া যায়।

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রথম ধাপ হলো একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করা। এরপর ক্লায়েন্টের পোস্ট করা কাজগুলোতে প্রপোজাল পাঠানো যায়। প্রতিটি প্রোজেক্ট সম্পন্ন করার পর নির্ধারিত অর্থ ফ্রিল্যান্সারের Upwork অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

Upwork এর অন্যতম সুবিধা হলো এখানে বড় ক্লায়েন্ট ও প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির কাজ পাওয়া যায়। আয় PayPal, ব্যাংক ট্রান্সফার বা Payoneer এর মাধ্যমে তোলা যায়। যারা দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য Upwork একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।

23. Blackout Bingo

Blackout Bingo হলো একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ যেখানে ক্লাসিক বিঙ্গো খেলে ক্যাশ ইনকাম করা যায়। এখানে খেলোয়াড়রা স্কিল-ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জয়ী হলে নগদ অর্থ পান।

গেমের নিয়ম সহজ কার্ডে থাকা সংখ্যাগুলো সঠিকভাবে মিলিয়ে লাইনে সাজাতে হয়। ফ্রি ম্যাচ খেলে অনুশীলন করার সুযোগ রয়েছে, এরপর পেইড টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে বেশি আয় করা যায়। প্রতিটি ম্যাচে নির্দিষ্ট এন্ট্রি ফি থাকতে পারে, তবে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকলে এটি লাভজনক।

Blackout Bingo থেকে আয় PayPal এর মাধ্যমে তোলা যায়। যারা কার্ড গেমে দক্ষ এবং বিনোদনের সাথে আয় করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ বিকল্প।

24. Cointiply – Earn Real Bitcoin

Cointiply হলো একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি-ভিত্তিক রিওয়ার্ডস প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন টাস্ক সম্পন্ন করে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো আয় করতে পারেন। এখানে সার্ভে, ভিডিও দেখা, গেম খেলা এবং অ্যাপ টেস্টিং করার মাধ্যমে আয় করা যায়।

অ্যাপটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এটি সরাসরি বিটকয়েন বা ডজকয়েনের মতো ডিজিটাল কারেন্সিতে পেমেন্ট দেয়। যারা ক্রিপ্টোতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি একটি সহজ এবং ঝুঁকিমুক্ত উপায় ক্রিপ্টো সংগ্রহের।

Cointiply তে প্রতিদিন নতুন টাস্ক যুক্ত হয়, যা ব্যবহারকারীদের নিয়মিত আয়ের সুযোগ দেয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে সরাসরি উইথড্র করার সুবিধা থাকায় এটি তরুণদের কাছে খুব জনপ্রিয়।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম – অনলাইন আয়ের সেরা ১০টি উপায়

FAQ:

প্রশ্ন ১: অনলাইন ইনকাম অ্যাপ কি সত্যিই টাকা দেয়?

হ্যাঁ, অনেক বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আসলেই পেমেন্ট করে। তবে সব অ্যাপ সমান নির্ভরযোগ্য নয়।

তাই সবসময় এমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে যেগুলোর ভালো রিভিউ, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং পেমেন্ট প্রুফ রয়েছে। যেমন: Swagbucks, Survey Junkie, Fiverr, Rakuten, Uber ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২: দিনে ৩০০ টাকা আয় করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ, একেবারেই সম্ভব। তবে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা আয় করা একটু কঠিন। এজন্য একসাথে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়।

যেমন: সার্ভে অ্যাপ (Survey Junkie, Branded Surveys), গেমিং অ্যাপ (Mistplay, Bingo Cash) এবং ক্যাশব্যাক অ্যাপ (Ibotta, Rakuten) একসাথে ব্যবহার করলে দিনে ২০০–৩০০ টাকা ইনকাম করা যায়।

প্রশ্ন ৩: কোন অ্যাপগুলো বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায়?

সব অ্যাপ বাংলাদেশে কাজ করে না। তবে Fiverr, Upwork, Swagbucks, Freecash, Cointiply, TimeBucks ইত্যাদি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ থেকে ব্যবহারযোগ্য। অন্যদিকে কিছু অ্যাপ (যেমন Rakuten, Ibotta, Fetch Rewards) মূলত যুক্তরাষ্ট্র/ভারতের জন্য বেশি জনপ্রিয়।

প্রশ্ন ৪: পেমেন্ট কিভাবে পাওয়া যায়?

বেশিরভাগ অ্যাপ PayPal, Payoneer বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা দেয়। এছাড়া কিছু অ্যাপ গিফটকার্ড (Amazon, Google Play) আকারে পেমেন্ট করে। বাংলাদেশে PayPal অফিসিয়ালি না থাকলেও Payoneer, Skrill বা বিকল্প পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা তোলা সম্ভব।

প্রশ্ন ৫: গেম খেলে কি সত্যিই আয় হয়?

হ্যাঁ, অনেক অ্যাপ আছে যেখানে গেম খেলে ইনকাম করা যায়। যেমন Mistplay, Solitaire Cash, Bingo Cash, Blackout Bingo ইত্যাদি। তবে এগুলোতে আয় খুব বেশি না হলেও অবসর সময়ে কিছু অতিরিক্ত টাকা আনার জন্য ভালো মাধ্যম।

প্রশ্ন ৬: ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপগুলোর মধ্যে কোনগুলো সেরা?

Fiverr এবং Upwork হলো বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ। এখানে ছোট কাজ থেকে শুরু করে বড় প্রোজেক্ট পর্যন্ত পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার করতে চান, তাদের জন্য এগুলোই সেরা।

প্রশ্ন ৭: অনলাইন ইনকাম শুরু করতে কি আলাদা দক্ষতা প্রয়োজন?

সব ক্ষেত্রে নয়। যেমন সার্ভে অ্যাপ, রিওয়ার্ড অ্যাপ বা গেমিং অ্যাপে আলাদা দক্ষতা লাগে না। তবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম (Fiverr, Upwork) এ কাজ করতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট স্কিল শিখতে হয়।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

প্রশ্ন ৮: একসাথে কতগুলো অ্যাপ ব্যবহার করা যায়?

ইচ্ছা করলে একসাথে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। বরং এটা করলে আয় দ্রুত বাড়ে। তবে মনে রাখতে হবে, সব অ্যাপে সময় দিয়ে কাজ করতে হয়। তাই নিজের সময় ও আগ্রহ অনুযায়ী কয়েকটি বেছে নেয়াই ভালো।

প্রশ্ন ৯: কোন অ্যাপগুলো বাংলাদেশে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য?

বাংলাদেশ থেকে Fiverr, Upwork, Freecash, Swagbucks, Cointiply, TimeBucks ইত্যাদি অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। এগুলো বহু বছর ধরে পেমেন্ট দিচ্ছে এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেছে।

প্রশ্ন ১০: নতুনদের জন্য কোন অ্যাপ দিয়ে শুরু করা ভালো?

নতুনদের জন্য সার্ভে অ্যাপ (Survey Junkie, Branded Surveys), রিওয়ার্ড অ্যাপ (Swagbucks, Freecash) এবং সহজ গেমিং অ্যাপ (Mistplay, Bingo Cash) দিয়ে শুরু করা ভালো। এতে ঝুঁকি কম থাকে এবং দ্রুত আয়ের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।

শেষ কথা

অনলাইন ইনকাম এখন আর স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তবতা। সার্ভে অ্যাপ, রিওয়ার্ড অ্যাপ, ক্যাশব্যাক অ্যাপ, গেমিং অ্যাপ কিংবা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম সবগুলোই আপনাকে বাড়িতে বসে উপার্জনের সুযোগ দিচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে, একেকটি অ্যাপে আয়ের পরিমাণ ভিন্ন হয়।

কারও জন্য গেম খেলে কিছু অতিরিক্ত টাকা উপার্জন ভালো হতে পারে, আবার কারও জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার পথ খুলে দিতে পারে Fiverr বা Upwork। তাই নিজের দক্ষতা ও সময় অনুযায়ী অ্যাপ বেছে নিয়ে নিয়মিত কাজ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সবশেষে বলা যায়, বসে না থেকে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করলে ৩০০ টাকা ইনকাম করা মোটেও কঠিন কিছু নয়। সঠিক অ্যাপ বেছে নিয়ে ধৈর্য ধরে কাজ করলে আপনার মোবাইলই হয়ে উঠবে আয়ের উৎস।

Leave a Comment